আশাশুনিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বøকে বোরো ধানের সমালয়ে চাষাবাদ এর ৫০ একর প্রদর্শনী রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বুধহাটা বøকের শ্বেতপুর বিলে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির বাস্তবায়নে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদ এর ৫০ একর প্রদর্শনী রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরার উপ পরিচালক ড. মোঃ জামাল উদ্দীন। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিপক মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন টেকনিক্যাল এÐ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় দাশ, এসএপিপিও আঃ গনি, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, চাষী মহাদেব ঘোষ।
প্রদর্শনীতে ৩২ জন চাষী ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদ করছেন। প্রধান অতিথি ড. মোঃ জামাল উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে চাষাবাদ প্রায় শতভাগ যন্ত্র নির্ভর হয়েছে। রোপন কাজ যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। ধান কর্তনও যন্ত্রের মাধ্যমে করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগে কৃষকরা লাঙ্গল দিয়ে চাষ করতেন। পাওয়ার ট্রেলারের মাধ্যমে চাষ করানো শুরু করলে কৃষকদের আগ্রহ দেখা যায়নি।
আস্তে আস্তে কৃষকরা সম্পূর্ণ ভাবে যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করছেন। রাইস ট্রান্স প্লান্টারের রোপন কাজ কৃষকদের অজানা, আশা করি অদূর ভবিষ্যতে রোপন কাজও যান্ত্রিকরণ সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে রোপন করা হলে ঘন্টায় ৩ বিঘা জমি রোপন করা যাবে। খরচ লাগবে ৫ থেকে ৮ শত টাকা। অথচ শ্রমিকের মাধ্যমে একাজ করা হলে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রধান অতিথি আরও বলেন, ধান কাটার কাজও কম্বাইন হারভেষ্টারের মাধ্যমে করা হবে।
যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ করা হলে খরচ কমবে, সময় কম লাগবে এবং ফলনও অনেক বেশী হবে। পরে রোপন কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে শত শত কৃষকের উপস্থিতিতে জমিতে রোপন ক্রিয়া শুরু করা হয়।