বিয়ে মেনে না নেয়ায় একসঙ্গে বিষপান, প্রেমিকার মৃত্যু, হাসপাতালে প্রেমিক
নিউজ ডেস্ক:
ফেসবুকে ইমনের সঙ্গে পরিচয় হয় স্কুলছাত্রী রুপা খাতুনের। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ছয় মাস ধরে সম্পর্ক চলছিল তাদের। রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রেমিকার খোঁজে গুরুদাসপুরে আসেন প্রেমিক ইমন। দেখা হয় দুজনের। পরে বিয়েও করেন তারা। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন পরিবারের সদস্যরা। পরদিন দুপুরে পরিবারের ওপর অভিমান করে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা। এতে প্রেমিকা রুপা মারা গেলেও চিকিৎসাধীন প্রেমিক ইমন হোসেন।
সোমবার বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় খুবজিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক ইমন হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর হায়দারাবাদ এলাকার সেলিম রেজার ছেলে। মৃত প্রেমিকা রুপা খাতুন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার খুবজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুপা খাতুনের সঙ্গে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হায়দারাবাদ গ্রামের ইমনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ছয় মাস ধরে সম্পর্ক চলছিল তাদের। রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রেমিকার খোঁজে গুরুদাসপুরে আসেন প্রেমিক ইমন। দেখা হয় দুজনের। পরে বিয়েও করে। বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবার জানতে পারলে দুজনের ওপর ক্ষুব্ধ হন পরিবারের সদস্যরা। পরে সোমবার দুপুরে পরিবারের ওপর অভিমান করে তরল কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা দুজনকেই উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমা আফরোজ জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। ছেলেটির অবস্থা শঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ইমন হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।