নিজের বাড়িতেই সাবেক আফগান নারী আইনপ্রণেতাকে গুলি করে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের সাবেক এক নারী আইনপ্রণেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম মুরসাল নবীজাদা। এসময় গুলিতে তার এক দেহরক্ষীও নিহত হয়। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ওই নারী আইনপ্রণেতার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক আফগান নারী সংসদ সদস্য এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মুরসাল নবীজাদা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সরকারে পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন।
তবে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবানের হাতে ওই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। তিনি আফগানিস্তানের কয়েকজন নারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে একজন যারা তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরও কাবুলে থেকে গিয়েছিলেন।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান রোববার বলেছেন, ‘নবীজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মৌলভি হামিদুল্লাহ খালিদ জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টার দিকে সাবেক ওই আফগান আইনপ্রণেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নবীজাদার ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
খালিদ অবশ্য এই ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি।
আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, নবীজাদার মৃত্যুতে তিনি শোকাহত এবং তার আশা, অপরাধীদের শাস্তি হবে। তিনি নিহত নবীজাদাকে ‘জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক’ হিসাবে উল্লেখ করেন।
নবীজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং বেসরকারী গোষ্ঠী মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, নবীজাদা ছিলেন ‘আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন’। তিনি লিখেছেন, ‘একজন সত্যিকারের পথনির্দেশক – শক্তিশালী, স্পষ্টভাষী নারী যিনি বিপদের মুখেও নিজে যা বিশ্বাস করেছিলেন তার পক্ষেই দাঁড়িয়েছিলেন।’
সোলাইমানখিল আরও বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও, তিনি তার জনগণের জন্য থাকার এবং লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’