কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ৪ জন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরাধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো চারজন। একজন আসামীর পক্ষ থেকে একজন করে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় এ সাক্ষ্য দেন। এর আগে ১০ জানুয়ারি একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। আগামি ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সাফাই সাক্ষীরা হলেন, আসামী অ্যাড. আব্দুস সাত্তারের পক্ষে হোসেন আলী, আসামী তামিম আজাদ মেরিনের পক্ষে মনিরুজ্জামান, সেন্টুর পক্ষে আয়নাল হক ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে নাজিমউদ্দিন আলম।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক বিশ^নাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আসামী পক্ষের চার জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। এ মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আসামীপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের কাঠগোড়ায় এ সময় কারাগার থেকে আনা ৩৯ জন আসামী হাজির ছিলেন। নয় জন্য পলাতক রয়েছেন। ইতিমধ্যে দুইজন কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. আব্দুল বারী, অ্যাড. সৈয়দ জিয়া, অ্যাড, ওকালত আলী, অ্যাড, তামিম আহমেদ সোহাগ, অ্যাড. রুহুল আমিন প্রমুখ।

অপরদিকে, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু,শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত : ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।

হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)