লড়াই করেই হারল খুলনা, রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়
নিউজ ডেস্কঃ
বিপিএলের নবম আসরের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হয়েছে আজ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স। যেখানে অল্প পুঁজি নিয়েও দারুণভাবে লড়ছে খুলনা। তবে শেষ হাসি হেসেছে রংপুরই।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ১৩০ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায় রংপুর।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই প্রথম বলটি মিস করেন। পরের বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার।
রংপুরের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রনি তালুকদার ও সায়েম আইয়ুব। দুজনের কেউই খুব একটা রানের দেখা পাননি। রনি ১ ও তার সঙ্গী ফেরেন ১০ রানে। তিনে নামা মাহেদী হাসানও ১৪ রানে সাজঘরে ফিরলে বিপদে পড়ে রংপুর।
এ অবস্থায় দলের হয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন নাঈম শেখ ও শোয়েব মালিক। দুজনে গড়েন ২৭ রানের জুটি। তবে তাদের জুটিতে ক্রমেই বাড়ছিল রান রেটের চাপ। এ অবস্থায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে ২১ রানে আউট হন নাঈম।
নুরুল হাসান সোহান ১০ রানে ফিরলে খাদের কিনারায় পড়ে যায় রংপুর। শেষ ১৫ বলে দলটির প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। এ সময় টানা তিন বলে ৩ চার হাঁকিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান শামীম পাটোয়ারি। ফলে শেষ ২ ওভারে দলের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২১ রানে।
সাইফউদ্দিনের করা পেনাল্টিমেট ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকান মালিক। পরের ডেলিভারি নো করেন তিনি। সেই বলেই মালিক ছক্কা হাঁকালে ম্যাচ পুরোপুরি রংপুরের পক্ষে চলে আসে। পরের চার বলে আসে দুই রান। যেখানে ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মালিক।
৩৬ বলে ৪৪ রানে শোয়েব মালিক ফিরলে ম্যাচে ফের উত্তেজনা জমে ওঠে। শেষ বলে ১ রান দেন সাইফউদ্দিন। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৭ রান। যা প্রথম ৩ বল থেকেই নেন ওমরজাই।
খুলনার হয়ে সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ ও নাসুম আহমেদের প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তাকে ও তিনে নামা শারজিল খানকেও ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এরপর হাবিবুর রহমান সোহানকে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান বোল্ড করলে মাত্র ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় খুলনা। সেখান থেকে হাল ধরে পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি।
আজম-ইয়াসিরের ব্যাটে যখন ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তারের অপেক্ষায় খুলনা, তখনই ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হন ইয়াসির। খুলনা অধিনায়ককে ফিরিয়ে ৫৮ রানের জুটি ভাঙার পর একই ওভারে সাব্বির রহমানকে ফেরান রবিউল হক।
একপ্রান্তে লড়াই করতে থাকা আজম খানকে ফিরিয়ে বড় আঘাত হানেন রাকিবুল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন এই ব্যাটার। শেষদিকে ৩২ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম।
তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি সাইফউদ্দিন ও নাহিদুলের কেউই। দুজনই অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হওয়ার আগে যথাক্রমে ২২ ও ১৫ রান করেন। হাসান মাহমুদের ডেলিভারিতে নাসুম আহমেদ আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।
রংপুরের হয়ে একাই চার উইকেট শিকার করেন রবিউল। এছাড়া রাকিবুল হাসান, ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।