সাতক্ষীরায় জোর করে জমি দখল শেষে গরু জবাই করে আনন্দ উদযাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় দেওরকে অবরুদ্ধ করে জমি দখল শেষে গরু জবাই করে আনন্দ উদযাপন করেছে করে ভাবি। সাতক্ষীরা শহরের ফয়জুল্লাহপুর গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার মৃত আশরাফ উদ্দিনের বড় ছেলে মৃত হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী দাবি করা সাহিদা আনসারী। মৃত আশরাফ উদ্দিনের ছোট ছেলে নাসির উদ্দিন ও কন্যা ফিরোজা পারভীনের পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাড়া করে আনা ভূমি-দস্যু দিয়ে দখল নিয়ে ঘর স্থাপন করে এবং দখল শেষে গরু জবাই করে ওই এলাকায় আনন্দ উদযাপন করা হয়েছে। এ ঘটনাই এলাকাবাসীর ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই মৃত হেলাল উদ্দিন পেশায় তিনি ঠিকাদার ছিলেন যে কারণে তিনি অনেক টাকা ঋণ ছিলেন, এ পর্যন্ত আমি এবং আমার বড় বোন ফিরোজা পারভীন তার ঋণ শোধ করে যাচ্ছি আমরা দু ভাই বোন বড় ভাইয়ের কাছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা পায় সেই মর্মে আমরা একটি আদালতে মামলা করি এবং আদালত থেকে রায় ডিগ্রি পায়। পৈতৃক সূত্রে পাওয় আমার বড় ভাইয়ের সম্পত্তি বর্তমানে আদালত করুক করে নাজিরের সুরক্ষা হেফাজতের দিয়েছে।
তারা কোর্টের আদেশ অমান্য করে আমার ও আমার পরিবারকে বাড়ির ভিতর অবরুদ্ধ করে জোর করে আদালতের করুক করা জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে, যার দাগ নম্বর ডি এস ১৪২৪।
নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে আরো বলেন, বড় ভাই বেঁচে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, আমরা পারিবারিক-ভাবে বড় ভাইকে বিয়ে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ চালাচ্ছিলাম, কিন্তু বড় ভাই মারা যাওয়ার পরপরই শাহিদা আনসারী নামের এক মহিলা বড় ভাইয়ের স্ত্রী বলে দাবি করে আসছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, শহরের পলাশপুর এলাকার রিয়াসাদ হোসেন খান চৌধুরীর স্ত্রী ছিলেন এই শাহিদা আনসারী, এ বিষয় মৃত আশরাফউদ্দিনের মেয়ে ফিরোজা পারভিন জানায়, আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর বৈধতা আছে কিনা তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আদালতে আমরা মামলা করেছি মামলা চলমান আছে মামলা নাম্বার দেওয়ানি ৫০১/২১, আদালতে রিবোগেশন মামলা চলছে ।
জমি দখল ও অবৈধ স্থাপনা যাতে করতে না পারে সেজন্য ৯৯৯ কল করে সাহায্য চায়। পরবর্তীতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান ঘটনাস্থলে দুই পুলিশ কর্মকর্তা পাঠান পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা আমলে নিয়েছি আমার কাছে অভিযোগ আসার পরে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম করা হবে এবং লিখিত অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় শাহিদা আনসারীর কাছে দখলের কথা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমার সম্পত্তিতে আমি স্থাপনা নির্মাণ করছি।