তালাবদ্ধ ঘরে মা-ছেলের গলিত লাশ, যে ‘আলামত’ পেলেন চিকিৎসক

নিউজ ডেস্ক:

তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। সোমবার ওই মামলায় ঝুমন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে মা ও ছেলের মরদেহে হত্যার আলামত পেয়েছেন চিকিৎসক।

নিহত রুবিনা আক্তার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার সিরাজ মিয়ার মেয়ে এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর উপজেলার ঝুমন মিয়ার স্ত্রী। মায়ের লাশের পাশ থেকে ছেলে চার বছরের শিশু জিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঝুমন মাওনা এলাকায় ভাড়া থেকে রঙ্গীলা বাজারে ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।

সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মা ও ছেলের মরদেহে হত্যার আলামত পেয়েছি। তবে প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহের অংশ বিশেষ রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে গত রোববার রাতে রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। সোমবার ওই মামলায় ঝুমন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে রুবিনার সঙ্গে বিয়ে হয় ঝুমন মিয়ার। বিয়ের পর থেকে রুবিনা তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত চার দিন ধরে মা-ছেলেকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। নিখোঁজের সপ্তাহ খানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। বাড়ির চারপাশে টিনের বেড়ার গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে স্বজনরা ধারণা করেছিল, রুবিনা ছেলেকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেছে।

কিন্তু শনিবার বিকেলে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে অপরপাশ দিয়ে বাড়িতে ঢুকে বসতঘরের দরজায় তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। রুবিনার ছোট বোন সেলিনা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মা-ছেলের গলিত লাশ দেখতে পায়। এরপর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। শ্বাসরোধে মা ও ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় রুবিনার স্বামী ঝুমনকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)