শীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

শীতকালে বাইক চালানো একদিকে যেমন একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, তেমনই অন্যদিকে সঠিক সাবধানতা অবলম্বন না করলে বড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে। শীতকালের ঘন কুয়াশা যেমন বাইক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি বাইকার হিসেবে আপনার কিছু অসাবধানতাও হতে পারে বড় দুর্ঘটনার কারণ।

তাই শীতকালে বাইক রাইডের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে। পালসার বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে শীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে বেশ কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-

>>> শীতকালে রাইডে বের হবার আগে আবহাওয়া চেক করুন।

>>> কুয়াশায় রাইডিং এর সময় বেশি সতর্ক থাকুন। কুয়াশার কারণে দেখতে সমস্যা হলে কোথাও দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

>>> বাইক চালানোর সময় কুয়াশায় সঠিকভাবে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করুন এবং মোটরসাইকেলের হেডলাইট অন রেখে বাইক রাইডিং করুন। রাতের বেলা ভালো মানের ফগ লাইট ব্যবহার করুন।

>>> শীতের সকালে এবং রাতে অনেক কুয়াশা থাকে ফলে রাস্তায় রাস্তায় চলাচল করা অন্যান্য যানবাহন যাতে সহজেই আপনাকে দেখতে পায় সেজন্য রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করুন ।

>>> রাস্তায় বের হবার আগে উভয় ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখুন।

>>> হুটহাট ব্রেক করা থেকে বিরত থাকুন। ব্রেক করার জন্য নিরাপদ দূরত্ব রেখে রাইড করুন।

>>> বাইক রাইডিং এর সময় যাতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি বুক এবং গলায় না লাগে সেজন্য ভালো মানের জ্যাকেট পরুন। প্রয়োজন অনুযায়ী শীতের কাপড় সঙ্গে রাখুন। ঠান্ডা বাতাস এবং সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে ফুল ফেইস হেলমেট ব্যবহার করুন।

>>> শীতের সময়ে বাইক রাইডিং-এর সময় অবশ্যই হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এই ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা জরুরি কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা পরলে, বাইকের হ্যান্ডেল দীর্ঘ সময় ধরে রাখলে, হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। তাই আঙুল গরম রাখতে ভালো মানের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন।

>>> রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি দূরত্ব রাখুন।

>>> রাইডের আগে লুকিং গ্লাসগুলো ঠিক অবস্থানে আছে কিনা চেক করুন।

>>> হেডলাইট ও টেইললাইট কাজ করছে কিনা চেক করুন।

>>> নিয়মিত টায়ার, টায়ার প্রেশার চেক করুন।

>>> শীতের সকালে কুয়াশায় অতিরিক্ত গতির জন্য অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, অতিরিক্ত গতি জীবন পুরাটাই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই বাইকের গতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পাশাপাশি গতিসীমা মেনে চলুন।

>>> একজনের বেশি পিলিওন নেবেন না। পিলিওনকেও হেলমেট ব্যবহার করতে বলুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)