সাতক্ষীরায় এম আলি পলি ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায়এম আলি পলি ক্লিনিকে ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানের ভূল চিকিৎসায় ফিস্টুলা রোগী রোজিনা খাতুন এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে রসুলপুর গ্রামের রোজিনা খাতুনের স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানসহ আরও একজনকে বিবাদী করে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা থানার ওসি আবু জাহিদ ফখরুল আলম খান জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদীকে তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানালে বিবাদীর চেম্বারে নিয়ে যায়। এরপর ডা. মো. সহিদুর রহমান তার স্ত্রীর ফেস্টুলা অপারেশন করার পরামর্শ দেয়। সেই প্রেক্ষিতে বাদী তার স্ত্রীকে ঐ ডাক্তারের দ্বারা অপারেশন করিয়ে নেয়। অপারেশন পরবর্তী সময়ে ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধ তার স্ত্রীর ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেয়। এছাড়াও পরবর্তীতে তার স্ত্রীর সমস্যা দেখা দিলে সাইফুল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখনও ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধ লিখে দেয়। ওই ঔষধগুলো খেয়ে তার স্ত্রীর সমস্যা নিরাময় হয়নি বরং তার স্ত্রীর সমস্যা দিনদিন আশংঙ্কাজনক ভাবে বাড়তে থাকে।
তখন তার স্বামী সাইফুল স্ত্রীকে নিয়ে ডা. সুজিত রায়ের কাছে পরামর্শ নিতে যায়। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া জানায় তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর রোজিনা খাতুনের স্বামী ডা. মো. সহিদুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তার পক্ষ নিয়ে এম আলি পলি ক্লিনিকের পরিচালক মো. মিল্টন বাদীর স্বামীসহ তার স্ত্রীকে গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোজিনা খাতুন জানান, এম আলি পলি ক্লিনিকের ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানের ভূল চিকিৎসায় আমার স্বামী আমার পিছুনে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা খরচ করছে। আমার স্বামী মো. সাইফুল ইসলাস (৬৮) একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। দৃশ্যমান কোনো উপার্জনের পথ না থাকায় নিরুপায় জীবন-যাপন করছে পরিবারটি। তার উপর আমার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অক্ষম শারীরিক প্রতিবন্দ্বী স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম। সেজন্য তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান ।
এ বিষয়ে এম. আলী পলি ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম (মিল্টন) জানান, আমি ছাড়পত্র না দেখে বলতে পারবো না।