পারুলিয়ায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকালে আটক ৮: সাড়ে ৪’শ কেজি চিংড়ি ধ্বংস ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার:

দেবহাটায় রপ্তানীযোগ্য বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকালে উপজেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবদি পারুলিয়ার বেশ কয়েকটি রপ্তানীযোগ্য চিংড়ি মাছের ডিপোতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় পারুলিয়ার আলহাজ¦ নূর আমিন গাজীর মালিকানাধীন আমিন ফিস থেকে অপদ্রব্য পুশকাজে নিয়োজিত ৫জন নারী শ্রমিক ও মাসুদ রানা’র মালিকানাধীন আলিফ ফিস থেকে ৩জন নারী শ্রমিককে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর ভ্রাম্যমান আদালত। একইসাথে আমিন ফিস থেকে ৩৪০ কেজি এবং আলিফ ফিস থেকে ৯০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। এঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের দায়ে আটককৃত ৮ নারী শ্রমিককে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং আমিন ফিসের মালিককে সাড়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী এবিষয়ে বলেন, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারুলিয়ার আমিন ফিসের মালিক আলহাজ¦ নূর আমিন গাজী এবং আলিফ ফিসের মালিক মাসুদ রানা সহ বেশ কয়েকজন ডিপো মালিক অতি মুনাফার লোভে রপ্তানীযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে জেলি, ফিটকিরি, সাগুদানা, ভাতের মাড়সহ নানা ধরনের অপদ্রব্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুশ করে আসছিল। অপদ্রব্য পুশের কাজে তারা স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থানীয় অসহায়, দুঃস্থ, বিধবা ও ডিভোর্সী নারীদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করতো। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক পরবর্তী বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান, জরিমানা আদায় ও জব্দকৃত ৪৩০ কেজি চিংড়ি জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি। এসময় উপজেলা মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেনসহ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)