শ্বশুরবাড়িতে যুবকের ঝুলন্ত দেহ, স্বজনদের দাবি ‘হত্যা’
নিউজ ডেস্ক:
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মনির হোসেন নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, মনিরকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মনির চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা এলাকার রহমান পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি ভাসমান চটপটির দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন মেলায় ভাসমান চটপটির দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতেন মনির। এ কারণে বেশির ভাগ সময়ই বাইরে থাকতেন তিনি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো মনিরের। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন মনির। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এমএ কালাম তালুকদার জানান, মনিরকে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে।
মৃতের মামাতো বোনের স্বামী গফুর আলী সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনিরের স্ত্রীর বড় ভাই আল আমিন আমাকে ফোন করে বলেন, মনির তাদের বাড়িতে গিয়ে উল্টাপাল্টা আচরণ করছেন। তখন মোবাইলে অনেক চিৎকার শুনতে পাই। তারা আমাকে সেখানে যেতে বলেন। কিন্তু ২০-২৫ মিনিট পর আবার ফোন করে জানান, মনির মারা গেছেন। পাশ থেকে আরেকজন বলছিলেন ‘ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছেন।’
মৃতের মামাতো ভাই আল আমিন বলেন, মনিরের মাধ্যমে জানতে পারি, দুদিন আগেও স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছিল। মনির কোনোভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনসার উজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃতের গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।