ফখরুলকে বিএনপি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবর্তমানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে বিএনপিকে আগলে রাখলেও দলের কিছু নেতা এখন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
জানা গেছে, ফখরুলবিরোধীরা একজোট হয়ে তাকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ফখরুলপন্থী এক নেতা জানায়, ২০১১ সালের ২০ মার্চ বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলটির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে ঘুচে যায় ‘ভারপ্রাপ্ত’। নির্বাচিত হন দলের মহাসচিব। সেই থেকে নিজের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলামের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সংগঠিত হতে পেরেছে। মির্জা ফখরুলের জন্যেই বিভাগীয় সমাবেশগুলো সফল হয়েছে। কিন্তু এখন ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বিফল হওয়ায় দোষারোপ করা হচ্ছে তাকে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সরকার পতনের পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। দলের নেতারা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের কথায় দেশ চলবে না। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। দলের নেতাদের এমন মন্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘১০ ডিসেম্বর কিছু হবে না। আমি দলের মহাসচিব, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ১০ ডিসেম্বর কিছু হবে না।’ তবে দলের অন্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। সেই লক্ষ্যে সমাবেশের তিনদিন আগেই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। দলের সিদ্ধান্তে মির্জা ফখরুল সেদিন অনেকটা বাধ্য হয়েই নয়াপল্টনে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যেখানে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা ছিলেন লাপাত্তা।
এখন বিএনপিতে গুঞ্জন উঠেছে, মির্জা ফখরুল সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখেন। তাই তাকে মাইনাস করতে পারলেই বিএনপি আরো জোরদার আন্দোলন করতে পারবে- এমন সব কথা বলে কেউ কেউ কান ভারি করছেন তারেক রহমানের। আর তাই শোনা যাচ্ছে, মহাসচিব পদ নিয়ে এখন বিকল্প চিন্তা করছেন তারেক রহমান।