আশাশুনিতে সংসারে অশান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে পিতা ও চাচার বিরুদ্ধে এক গৃহবধুর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কন্যার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার প্রতিবাদে পিতা এবং চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আশাশুনির কাপসন্ডা গ্রামের রফিকুল সরদারের কন্যা শিখা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়া ছাড়ি হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে কাপন্ডার মালেক সরদারের পুত্র জাহিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ করি। বিবাহের পর সুখে শান্তিতে থাকলেও আমার পিতা রফিকুল সরদার এবং চাচা অহিদুল সরদার আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত করতে থাকে।
পিতা ও চাচার চাপে স্বামী জাহিদুলের কাছ থেকে প্রায় ৩ মাস অন্যত্র অবস্থান করতে বাধ্য হই। এরপর পুনরায় স্বামী জাহিদুলের কাছে ফিরে গিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতে থাকি। একের পর এক থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে স্বামী জাহিদুলসহ তার পরিবারের সদস্যদের নানানভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে পিতা স্বামী জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু আমাকে অপহরণ করা হয়নি। আমি স্বামীর সাথেই শান্তিতে রয়েছি। কিন্তু পিতার দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের লোকজন প্রায়ই আমার স্বামীর বাড়িতে এবং তার কর্মস্থলে গিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
ফলে স্বামী এবং তার পরিবারের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এঘটনায় ইতোমধ্যে আমি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এছাড়া আমার স্বামীকে হয়রানির প্রতিবাদে পিতা রফিকুল সরদার ও চাচা অহিদুল সরদারের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যার নং- ৯৯৬, তাং- ২৩ নভেম্বর‘২২।
এতেও তারা শান্ত না হয়ে স্বামী জাহিদুলকে হয়রানির চক্রান্ত করতে থাকে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে পিতা রফিকুল সরদার এবং চাচা অহিদুল সরদারের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। যার নং- ১২৫৭/২২।
উক্ত মামলায় আদালত ২য় পক্ষ অর্থ্যাৎ চাচা এবং পিতাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সুখে ও শান্তিতে আছি। তারপরও পিতা এবং চাচা কি কারনে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে যাচ্ছেন সেটি আমার জানা নেই।
তাদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা পূর্বক সংসারে শান্তি বজায় রাখতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।