মেসি কত টাকার মালিক?
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। প্রাপ্তির চাদরে মোড়া ফুটবল ক্যারিয়ারে যোগ করেছেন একমাত্র অপ্রাপ্তির বিশ্বকাপ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে নাম লিখিয়েছেন সর্বকালের সেরাদের তালিকায়। এমন অবিস্মরণীয় অর্জনের পর কিংবদন্তি এ ফুটবলার কত টাকার মালিক সেই বিষয়টা আলোচনায় এসেছে আবারও।
মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের দাবি অনুযায়ী, গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মাঠ ও মাঠের বাইরে মেসির আয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মাঠে তার উপার্জন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮৪ কোটি টাকা এবং মাঠের বাইরে সেটা ৫৭৫ কোটি টাকা। বিশ্বকাপ জয়ের পর অবশ্য এনডোর্সমেন্ট থেকে মেসির উপার্জন আরও বাড়তে চলেছে।
চলতি বছর মেসি একটি এনডোর্সমেন্ট চুক্তিতে সই করেছেন, যেখান থেকে তার আয় হচ্ছে ২০৯ কোটি টাকা। এছাড়া মেসি নিজের কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন। বিশ্বখ্যাত অ্যাডিডাসের সঙ্গেও তার চুক্তি হয়ে আছে আজীবনের। এসব নতুন সংযোজনকে আমলে এনে ফোর্বস দাবি করছে, মেসিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলিট।
তবে এখানেই শেষ নয়। বয়সটা ৩৫ ছুঁয়ে ফেললেও এখনও ব্র্যান্ড ভ্যালু শুধু বাড়ছেই আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ক্যারিয়ারের শেষ সময়েও মেসির জন্য টাকা ঢালতে একটুও কার্পণ্য করছে না বিজ্ঞাপনদাতা ব্র্যান্ডগুলো। আর করবেই বা কেন? নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে কখনোই বিজ্ঞাপনদাতাদের হতাশ করেননি মেসি। ৩৫ বছর বয়সীসে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন, ৭ গোল করে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মেসির মোট সম্পত্তি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬২৭৫ কোটি টাকা। আর এই হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলিট এখন তিনি। খেলাধুলার ক্যারিয়ারে মেসির সমান আয় করেননি আর কেউই। তবে সম্পত্তির অনেকটা উপার্জন এসেছে মাঠের বাইরে থেকেও।
বার্সেলোনায় সমুদ্রের পাড়ে মেসির প্রাইভেট ফুটবল মাঠ রয়েছে। সে জায়গায় আছে অদ্ভুত এক নিয়মও। কোনো ধরনের বিমান চলাচল করতে পারবে না এই সম্পত্তির ওপর দিয়ে। তারকা ফুটবলারের একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি বেডরুম আছে। এই হোটেলে এক রাত থাকার জন্য ভাড়া ১০৫ পাউন্ড।
টাকা উপার্জন করে দু হাতে খরচও করছেন মেসি। নিজের প্রাইভেট জেট রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার। দামি এবং বিলাসবহুল গাড়িও আছে একাধিক। এর মধ্যে কয়েকটি আছে হাই স্পিড কার। এছাড়া দান ও সামাজিক সংস্কারমূলক কাজেও বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয় করে থাকেন আর্জেন্টাইন এ কিংবদন্তি।