সাতক্ষীরায় বেগম রোকেয়া দিবসে পাঁচজন নারীকে সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

ক্যাটাগরি“ক”অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে কলারোয়া উপজেলার নাহিদা আক্তারকে, ক্যাটাগরি“খ”শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের কাছারিপাড়ার বাসিন্দা ও সাতক্ষীরা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী,ক্যাটাগরি“গ”সফল জননী হিসেবে তালা উপজেলার নলতা গ্রামের মনোয়ারা বেগম,ক্যাটাগরি“ঘ”নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী হিসেবে কলারোয়া উপজেলার গদখালী গ্রামের রেহেনা পারভীন ও ক্যাটাগরি“ঙ”সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সম্পা গোস্বামীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

“সবার মাঝে ঐক্য গড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি”এই প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি,মানবন্ধন,আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা খুলনার রোড মোড় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে সামনে শেষে।

পরে সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এ.কে.এম শফিউল আযমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জয়িতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)কাজী আরিফুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরার চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা ছাড়াও জয়িতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চায়না ব্যানার্জী,বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,নারীকে সম্মান করা প্রতিটি পুরুষের দায়িত্ব।সমাজে মেয়েদের ইভটিজিং করা হয়। যারা ইভটিজিং করে তাদের চিন্তা করতে হবে নিজের ঘরেও মা বোন আছে।এই দিবস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নারীরা সমাজে পিছিয়ে থাকবে না।তাদেরকে আলোকিত করে গড়ে তুলতে হবে।অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)