আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস, পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
স্পোর্টস ডেস্ক:
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ। শেষ ষোলোর লড়াই হয়েছে জমজমাট। তাতে বাদ পড়েছে আটটি দল, বিপরীতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে সেরা আট দল। এই আট দলের মহারণের শুরুটা হবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। ৩৬ বছরের দুঃখ ঘুচিয়ে শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। তবে এই পথ সহজ নয়। মেসিদের পেরোতে হবে নেদারল্যান্ডস বাধা।
দুই দলের এই মহারণের আগে দেখে নেয়া যাক পরিসংখ্যান-
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত নয়বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। এর মধ্যে জয়ের পাল্লা নেদারল্যান্ডসের দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়েছে। নেদারল্যারন্ডসের ৪ জয়ের বিপরীতে আর্জেন্টিনার জয় মাত্র ৩ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফল ড্র।
ফুটবলের বিশ্ব আসরে পাঁচবারের দেখায় অবশ্য দুই দলের জয় সমান। দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। সে ম্যাচে ৪-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। পরের লড়াইয়েও আর্জেন্টিনাকে ৪-০ গোলে হারায় ডাচরা।
টানা দুই ম্যাচে হারের প্রতিশোধ আর্জেন্টিনা তুলে নেয় ১৯৭৮ সালে। মারিও কেম্পেসের নেতৃত্বে ৩-১ গোলে ডাচদের হারায় আলবিসেলেস্তেরা। পরের বার দুই দলের দেখা ১৯৯৮ সালে। ফ্রান্সে আয়োজিত কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা।
এরপর ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দেখার পর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল মেসি-মেম্ফিস ডিপাইরা। সেই ম্যাচে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে সার্জিও রোমেরোর নৈপুণ্যে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখে আর্জেন্টিনা।
অতীতের পারফর্ম্যান্স বাদ দিলে কাতারে কাউকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। র্যাঙ্কিংয়ের শক্তিমত্তায় আর্জেন্টিনা পাঁচ ধাপ এগিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের শক্তি রক্ষণভাগ। সেখানে আছেন ভার্জিল ফন ডাইক, ডি লিখট, জুরিয়েন টিম্বার ও নাথান অ্যাকে।
অন্যদিকে দলীয় খেলায় আর্জেন্টিনা এগোচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। দলের সবাই কম বেশি জ্বলে উঠছেন। তাতে তিন বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দেখাচ্ছে লিওনেল স্কালোনির দল। তাই লড়াইটা যে জমজমাট হবে সেটা অনুমেয়।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে এরপরই দলীয় ঝলক দেখায় তারা। বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা লিওনেল মেসির অধীনে জ্বলে ওঠে আলবিসেলেস্তেরা। পরের তিন ম্যাচে তাদের দেখা গেছে চিরচেনা ছন্দ।