প্রবাসী স্বামীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
২০১৫ সালে আল আমিন মৃধার সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই দুবাই চলে যান আল আমিন। এর সুযোগে গাজীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রুমা। পরে ঘটনাটি আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়। এমনকি স্ত্রীকে অনৈতিক পথ থেকে ফেরাতে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তবে অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসেননি রুমা।
একপর্যায়ে ২০১৮ সালে আল আমিন দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তাতে মন পাননি স্ত্রীর। অবশেষে ঘর থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিক অলিউল্লার হাত ধরে পালিয়েছেন রুমা। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার আমতলীতে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন রুমার স্বামী মো. আল আমিন মৃধা।
এদিকে এ ঘটনায় আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আরিফুর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন- তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চান্দখালী গ্রামের রিপন মৃধার মেয়ে রুমা বেগম ও আমতলী পৌর শহরের সিলভার ব্যবসায়ী আউয়াল গাজীর ছেলে অলিউল্লাহ গাজী। আল আমিন মৃধা আমতলী উপজেলার চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের আব্দুল খালেক মৃধার প্রবাসী ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে আল আমিন মৃধার সঙ্গে রুমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই আল আমিন দুবাই চলে যান। স্বামীর অবর্তমানে রুমা গাজীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে এ ঘটনা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়। স্ত্রীকে অনৈতিক পথ থেকে ফেরাতে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। তবে রুমা তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসেননি। পরে ২০১৮ সালে আল আমিন দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। গত রোববার স্বামীর ঘর থেকে নগদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিক অলিউল্লার হাত ধরে পালিয়েছেন রুমা।
তবে অভিযুক্ত রুমা মোবাইলে বলেন, আল আমিন নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
রুমার বাবা রিপন মৃধা জানান, আল আমিন আমার মেয়ের স্বামী। এখন শুনছি, মেয়ে জামাতাকে তালাক দিয়েছে’।
আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তদন্তকারী অফিসার রুপকুমার পাল জানান, আদালতের নথিপত্র পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।