সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখেই চলে গেলেন বুবলী
অনলাইন ডেস্ক :
চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে ও সন্তান এবং সবশেষ নাকফুল ইস্যু নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শবনম বুবলী। বিয়ের ঘোষণা ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনা নিয়ে শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
আর গত ২০ নভেম্বর বুবলীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি হীরার নাকফুল নিয়ে আলোচনায় তিনি।
পুরো বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান প্রথমে চুপ থাকলেও পরে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন— বুবলীর সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই নেই; হীরার নাকফুলের কথাও সত্য নয়। এমনকি অপুর মতো বুবলীকেও নিজের অতীত বলে মন্তব্য করেছেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক।
শাকিবের এ বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বুবলীর। এ নায়িকা মনে করছেন, তৃতীয় কারও চাপে পড়ে শাকিব তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চাচ্ছে।
আর এর পরই তিনি সন্তান শেহজাদ খান বীরের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবার সবার সামনে মুখ খুলবেন বলে হুশিয়ারি দেন। যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
কিন্তু তিনি করেননি। বরং সাংবাদিক-ক্যামেরা দেখেই সরে গেলেন এ নায়িকা।
শুক্রবার ‘নাকফুল’ ইস্যুতে কথা বলতে গণমাধ্যমকর্মীরা হাজির হয় বুবলীর শুটিং স্পটে। জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন বুবলী। তবে শট শেষ করেই বুবলী ঢুকে যান মেকআপ রুমে। বলা যায়, ক্যামেরা এড়াতেই দ্রুত মেকআপ রুমে প্রবেশ করেন বুবলী।
কেন এই ক্যামেরা ভীতি? বুবলী বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে যা ঘটছে তা নিয়ে আমি খুবই বিব্রত। এদিকে সেদিন সংবাদ সম্মেলন ডেকেও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা। তাই এ মুহূর্তে অন-ক্যামেরায় কোনো কথা বলতে চাই না।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন রাখেন দুজন। এই গোপনীয়তার মধ্যেই ২০২০ সালের ২১ মার্চ বুবলী মা হন। এসব তথ্য প্রকাশ্যে আনেন বুবলী চলতি বছরের অক্টোবরে। এর পর থেকেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব প্রকাশ্যে আসে। এখন দুজন আলাদা ছাদের নিচে থাকছেন।