সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে দীর্ঘ দিনের ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট এবং খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক কলেজ ছাত্র। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ নম্মেরনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির কচুয়া গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র দাসের ছেলে অলিপ কুমার দাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত করে আসছে প রামের পুত্র প্রভাষগং। এর জের ধরে প্রায়ই আমাদের মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল।
একপর্যায়ে গত ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে উক্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রভাষের নেতৃত্বে সন্তোষ দাসের পুত্র মনু দাস, নন্দ দাস, খোকন দাসের পুত্র মঙ্গল দাসসহ কতিপয় ভাড়াটিয়া ব্যক্তি বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং আমাদের বসতবাড়ি ভাংচুর করতে থাকে, বাড়িতে থাকা গাছপালা কাটতে থাকে।
এসময় আমার মাতা গীতা দাসী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মাকে মারপিট করতে থাকে। আমি ছুটে গিয়ে তাদের হাত থেকে মা কে উদ্ধার করতে গেলে প্রভাষের নির্দেশে মঙ্গল, নন্দ ও মন আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় আমাদের বাড়িতে আর কেউ না থাকায় পর সম্পদলোভী প্রভাষ আমাকে এবং আমার মাতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শাসরোধ করে।
তখন আমাদের গোঙরানিতে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তারা চলে যাওয়ার সময় আমাদের হত্যা করে গুম করা এবং মিথ্যামামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। সে সময় আমার মায়ের কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং আমার স্মার্ট মোবাইল ফোন রেডমি নোট ৮ ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরো বলেন বর্তমানে আমি ভালুকা চাঁদপুর কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছি। অথচ আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মারপিটের পর উল্টো ওই প্রভাবশালী প্রভাষগং আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানা হুমকি প্রদর্শন করছেন এবং চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হুমকিতে বর্তমানে আমার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছি। আমি ওই প্রভাষ গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।