রাতে বিশ্বকাপ মিশন শুরু রোনালদো-নেইমারের
স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে সময়ের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। আজ রাতেই কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলবেন আরেক তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আবার তার পরের ম্যাচে মাঠে নামবে নেইমার। আজ যেন তারকার মেলা। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪’এ ঘানার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করার আগে আলোচনায় রোনালদো।
বরাবরের মত ফেবারিটের তকমা গায়ে লাগিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্ট ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ দিয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কাতারের যাত্রা শুরু করবে।
তবে হেক্সা মিশনে ফেবারিটের মোড়কে চাপানো প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভামুক্ত হয়ে ভাল খেলা উপহার দিতে চায় তিতে বাহিনী।
গ্রুপ-এইচ’এ ফার্নান্দো সান্তোসেরপর্তুগালকে পরবর্তী দুই ম্যাচে উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। একইসাথে রাউন্ডে যেতে হলে তাদের আফ্রিকান প্রতিপক্ষের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই নিজেদের পথ সুগম করতে হবে।
আইকনিক ফুটবল জাতি হিসেবে পরিচিত হলেও পর্তুগাল শুধুমাত্র ১৯৬৬ ও ২০০৬ সালে দুইবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। গত পাঁচ আসরের মধ্যে চারটিতেই শেষ ১৬;র পর আর যেতে পারেনি। চার বছর আগে এবারের গ্রুপের আরেক দল উরুগুয়েল কাছে হেরে শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগীজরা।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের শেষ ১১টি ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জয়ী হয়েছে। যদিও গত বৃহস্পতিবার শেষ প্রস্ততি ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কাতারের প্রস্তুতিটা ভালই সেড়ে নিয়েছে রোনালদো বাহিনী।
আন্তর্জাতিক বড় টুর্নামেন্টে শেষ তিনটি আসরের প্রথম ম্যাচে জয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে সান্তোদের দল। বিশ্বকাপে যদিও পর্তুগাল কখনই পরিসংখ্যানের হিসেব মিলিয়ে খেলতে আসেনি। ম্যাচ-বাই-ম্যাচ এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে এবারও তারা অবিচল রয়েছে। কিন্তু ঘানার অন্তত একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, প্রথম ম্যাচে ভাল কিছু করতে হলে গত সাত ম্যাচে মাত্র দুই গোল হজম করা পর্তুগালের অপ্রতিরোধ্য রক্ষনভাগকে ফাঁকি দেবার কৌশল বের করা।
এদিকে ব্রাজিল দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে রয়ে গেছে। কারণ দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। দারুন প্রতিভাবান এই নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রডরিগো, রাফিনহা, এডার মিলিটাও, বুনো গুইমারায়েস, এন্টনির মত তরুণ তুর্কিরা। ইউরোপ জুড়ে এলিট ক্লাবগুলোতে খেলে ইতোমধ্যেই যারা প্রতিভার পরীক্ষা শেষ করেছেন।
এই তরুণদের সাথে দলের সুপারস্টার নেইমারের নামটা এমনিতেই চলে আসে। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে।
এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচে পরাজিত হয়েছে, ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চির প্রতিদ্ব›দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে সেলেসাওরা পরাজিত হয়েছিল।
চার বছর আগেও গ্রুপ পর্বে এই সার্বিয়ার মোকাবেলা করেছিল ব্রাজিল, যেখানে সেলেসাওদের জয় ছিল ২-০ ব্যবধানে।