ওষুধে কোলেস্টেরল কমবে ৭০ শতাংশ, দাবি গবেষকদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস (ইউএইচ) এবং কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনে পরিচালিত ওই গবেষণায় গবেষকরা পিসিএসকে৯ এর অণুগুলো পরীক্ষা করেন। সেখানেই দেখা যায়, ওই ওষুধে কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল হলো মোম জাতীয় পদার্থ। রক্ত ধমনীর দেওয়ালে যখন খারাপ কোলেস্টেরল জমতে থাকে তখন শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ প্রকাশ পায়। পাশাপাশি এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পশ্চিমা দেশগুলোতে কোলেস্টেরল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পিসিএসকে৯ ওষুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর নতুন উপায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু হল এলডিএল রিসেপ্টর, যা লিভার কোষের পৃষ্ঠে থাকে এবং রক্ত থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করে, যার ফলে সিরামের মাত্রা কমে যায়। পিসিএসকে৯ রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
মূলত পিসিএসকে৯ সেই এজেন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ওই ওষুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই ড্রাগের মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে। এই অণু রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে খাওয়া-দাওয়ার ওপরও বিশেষভাবে যত্ন নিতে হয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার রাখুন যার মধ্যে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি।
অন্যদিকে ফাস্ট ফুডের পরিমাণ কমাতে হবে। খাবারে তেলের ব্যবহারও কমাতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।