কৌশল পাল্টেছে রাশিয়া: বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর এবার ইউক্রেনের গ্যাস প্ল্যান্টে হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেন অভিযানে কৌশল পাল্টেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতিবেশী দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পর এখন গ্যাসক্ষেত্রগুলোকে ‘টার্গেট’ করছে রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেন সরকার বলছে, পূর্বাঞ্চলের একটি গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র এবং ডিনিপ্রো শহরের একটি মিসাইল কারখানা সর্বশেষ রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। অনেক জায়গায় তুষারপাত হচ্ছে। এ অবস্থায় লোকজন তাদের ঘর গরম রাখতে পারছে না। কারণ বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র রুশ মিসাইলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না ইউক্রেন সরকার।
সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এজন্য ইউক্রেন সরকারকেই দায়ী করছে মস্কো। ক্রেমলিনের দাবি, আলোচনায় সমাধানে আগ্রহী না কিয়েভ, তাই এই হামলা যৌক্তিক।
ইউক্রেনের বড় শহরগুলো একটি ডিনিপ্রো। বৃহস্পতিবারের শুরুতে এই শহরটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেন, ‘মিসাইল তৈরির ‘পিভডেনমাশ কারখানা’ হামলার শিকার হয়েছে। শহরের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, গোলাবর্ষণের পর এক কিশোরসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাশের শহর নিকোপোলে ৭০ গোলা আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। তারা বলছে, হামলার ফলে অনেক অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ ও পানিহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানী সংস্থা-নাফটোগাজ বলছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে তাদের গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ‘বড় হামলার’ শিকার হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের আবাসিক ভবনগুলোতে রাতভর হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। বন্দরনগরী ওডেসা এবং খারকিভ অঞ্চলেও ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
কিয়েভে সকালে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোটা দেশ বিমান হামলা ঝুঁকিতে আছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে উল্লেখ করে সামরিক কর্তৃপক্ষ জানায়, চারটি ক্রুজ মিসাইল এবং পাঁচটি ড্রোন গুলি করে তারা ভূপাতিত করেছে।