৩ বছরের শিশুকে হত্যা করে বস্তাবন্দি করল ১২ বছরের হিজবুল্লাহ
নিউজ ডেস্ক:
১২ বছরের শিশু হিজবুল্লাহ আব্বাস। কয়েকদিন আগে দুরন্তপনার জন্য তাকে বকা দিয়েছিলেন মিলন খান। এতে মনে আক্রোশ পুষে রাখে হিজবুল্লাহ। সেই আক্রোশে মিলনের তিন বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে।
বুধবার রাতে হিজবুল্লাদের বাড়ি থেকে সুমাইয়া মাহীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশু সুমাইয়াকে হত্যার অভিযোগে হিজবুল্লাহকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামের মিলন খান দিন কয়েক আগে দুরন্তপনার জন্য প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক জাহানারা বেগমের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে হিজবুল্লাহ আব্বাসকে বকা দিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বুধবার হিজবুল্লাহকে বাড়িতে রেখে স্কুলে চলে যান তার মা। বিকেলে অপর দুই শিশুর সঙ্গে সুমাইয়া মিলনদের বাড়ির আঙ্গিণায় খেলছিল। এ সময় দুই শিশুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় হিজবুল্লাহ। পরে শিশু সুমাইয়াকে মোবাইলের চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে হিজবুল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, সুমাইয়াকে হত্যার পর একটি ছোট বস্তার ভেতর ভরে মুখ বন্ধ করে ঘরের চৌকির নিচে রেখে হিজবুল্লাহ দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হিজবুল্লাহ। এদিকে সন্ধ্যা হলেও মিলন খান তার মেয়ে সুমাইয়াকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরইমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুমাইয়া অন্যদের সঙ্গে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলছিল।
পরে এলাকাবাসী হিজবুল্লাদের ঘর তল্লাশি করে চৌকির নিচ থেকে সুমাইয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হিজবুল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সুমাইয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে হিজবুল্লাহ।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শিশু সুমাইয়ার বাবা মিলন খান। বৃহস্পতিবার সুমাইয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে ও গ্রেফতার হিজবুল্লাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।