পাটকেলঘাটায় ফুটপাতের শীতের পোশাকের দাম বেশী হওয়ায় ক্রেতা শূণ্য
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি:
শীত ও কিছুটা কুয়াশা পড়তে শুরু করাই সাধারন নিন্মবিত্ত মানুষগুলো ভীড় জমাচ্ছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। এবারের শীতে প্রতিটা গরম কাপড়ের দাম বেশী থাকায় ক্রেতা ও দোকানীদের মধ্যে চলছে চরম দাম কষাকষি। দাম বেশীর কারনে শুরুতেই বিভিন্ন প্রকার সমস্যার মূখে পড়তে হচ্ছে দোকানদারদের। এতে করে ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়ছে। এমন কি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে উত্তেজনাকর বাক্য বিনিময়ও হচ্ছে বলে দোকানী ও ক্রেতারা দাবী করেছে। প্রতিটা গাঁইটে গত বছরের চেয়ে এবছর ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশী হওয়াতে এমন পরিবেশ তৈরী হচ্ছে। বলে ফুটপাত ও হকার্স দোকানীরা দাবী করছে।
ফুটপাত ও হকার্স বাজার ঘুরে জানা গেছে, জেলার সর্ব বৃহৎ বাজার পাটকেলঘাটা, এখানে প্রায় ১৫-২০টি স্থানে ফুটপাতে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রয় হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১২টা পর্যন্ত দোকান গুলোতে চলে বেচা-কেনা। প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রয়ের অবস্থা বেশি ভাল হয়। দোকান গুলোতে নিম্মবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভীড় করেন। গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়তে থাকায় শীত থেকে মানুষ একটু গরম পাওয়ার আশায় আগে ভাগেই ভীড় জমাচ্ছে বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান পর্যন্ত। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষনে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। শুরুতেই শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় তারা ঢাকা ও চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে দেশী-বিদেশী হরেক ডিজাইনের শীতের পোশাকের গাঁইট নিয়ে আসছে বলে জানা যায়। ব্যবসায়ী মীর শাহা আলম, আব্দুর রাজ্জাক সহ বাজারের ফুটপাতের কয়েক জন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, এবছর প্রতিটা গাঁইট আমাদের কিনতে হয়েছে অনেক বেশী দিয়ে ১০০ কেজি জ্যাকেটের গাঁইট গত বছরের তুলনায় ৫/৬ হাজার টাকা বেশী দিয়ে ও সোয়েটারের গাঁইট ৩/৪ হাজার টাকা বেশী দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সে কারনে দামও বেশী পড়ছে।
এবছরে জিনিষের তুলনায় দাম বেশী হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে আমাদের বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে। আমাদের কাছে সর্বনিম্ম ৫০ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্তবিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। গাঁইটে যেসব ভাল জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায় সেগুলোর দাম বেশি হয়। দোকানীরা পোশাকের গাঁইট ক্রয় করেন ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। মুখবন্ধ এসব গাঁইট কেনার আগে খুলে দেখার নিয়ম নেই। তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন। গারর্মেন্টস আইটেমের চেয়ে শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের উপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। একটি সোয়াটারের দাম ১৫০-৩৫০, গেঞ্জি ৮০-১৭০, জ্যাকেট ৩৫০-৮৫০, বাচ্চাদের কাপড় ৩৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, টোপ ৩০-১২০, মাফলার ৪০-১৫০ টাকা তার মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করেণ নিম্মবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা।