আশাশুনিতে পুলিশের উপর আক্রমন ঘটনায় মামলা-আটক-৩
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার তেঁতুলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার বিকালে এলাকায় গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদক দ্রব্য আছে সন্দেহে তেঁতুলিয়া বাজারে আঃ রউফের ছেলে রাসেলের মোটর সাইকেল আটক করে তল্লাসী চালান এসআই গাজী নূরুন্নবী ও কনস্টেবল মোহন। দু’বার তল্লাসি চালিয়ে রাসেলের কাছে ও মোটর সাইকেলে মাদক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।
৩য় দফায় তল্লাসী কালে মোটর সাইকেলে মাদক দ্রব্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানালে, স্থানীয় জনতা পুলিশ তল্লাসির সময় মোটর সাইকেলে মাদক দিয়ে মাদক উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে দাবী করে পুলিশকে ঘেরাও করে ফেলে এবং শত শত মানুষ ঘেরাও কালে সামনে থাকা কেউ কেউ পুলিশকে লাি ত করে। এসময় হাজী রফিকুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর সরকার দিপকে মোবাইলে জানালে দ্রুত চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌছে জনরোষ থেকে দু’জন পুলিশকে কৌশলে পাশে কুদ্দুছের কাপড়ের দোকানে নিয়ে হেফাজত করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে চেয়ারম্যানের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে পুলিশ গ্রাম পুলিশ রুহুল আমিনের ছেলে শফিকুল, গোলাম নবীর ছেলে মাছুম ও শহিদুলকে আটক করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার দিপ জানান, হাজী রফিকুল ও কামরুলের কাছ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থানে গিয়ে ৩/৪ শত মানুষের মধ্যে থেকে দুই পুলিশকে সাথে নিয়ে দোকানের মধ্যে রাখি। তখন দারোগার কাছে জানতে চাইলে তিনি ২/৪ জন লাি ত করেছে বলে জানান। এব্যাপারে মামলা হলে সংশ্লিষ্ট ২/৫ জনকে আসামী করা যুক্তিসংগত। অহেতুক আমাদের রাজনৈতিক ও ভোটাভোটির শত্রুদের কাছ থেকে নাম নিতে দেখে আমি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এর সাথে কথা বলি। আশা করবো নিরাপদ কেউ যেন মামলার আসামী না হয় সে জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ এসপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এসআই গাজী নূরন্নবী বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।