শ্যামনগর খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উপজেলা চেয়ারম্যান
শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগর খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ৷ তদন্তে উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন ৷ উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। কিন্তু পরিদর্শন করে দেখা গেলো, অভিযোগপত্রে বাস্তবতার চেয়ে কম লেখা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি দায়সারাভাবে টানানো, পরিদর্শন খাতা হেড মাস্টারের লকারে বন্দি।
একটি বিদ্যালয় একজন শিক্ষক দিয়ে কোনরকম চালানো হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগের শেষ নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত শিক্ষা কমিটির সভা ডাকার নির্দেশ দিয়েছি। গত ৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ রবিবার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি আতাউল হক দোলন ৷
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলে না আসা, এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায়, বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নাইট গার্ড নিয়োগে বাণিজ্য, উন্নয়নকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ নয়ছয়, স্কুল কমিটি স্থগিত রেখে সময়ক্ষেপণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত দেওয়ার পরই শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম আতাউল হক দোলন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করলেন।
এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসারকে বার বার অবগত করা হলেও তিনি নানান অজুহাত দিয়ে টালবাহানা করেন। তার সাথে সম্পর্ক ভালো হওয়ার কারণে স্বেচ্ছাচারিতা করে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন দেন না ।
স্কুল না করলেও নিয়মিত ট্রেনিং করেন। এলাকার একটি মাত্র স্কুলের পড়াশোনা প্রধান শিক্ষকের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিজ মিঞা জানান, আমরা খোলপেটুয়া প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু তিনি গণিতের উপর এক সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে আছেন। ট্রেনিং থেকে ফিরলে বুধবার তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ে যাবেন শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে স্থানীয়রা জেলা শিক্ষা কর্মকতা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
Please follow and like us: