সাতক্ষীরা কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় আরো দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
রঘুনাথ খাঁ:
২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় আরো দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ^নাথ মÐলের কাছে এ সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামি নভেম্বর রবিবার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৯ জন আসামীকে সোমবার সকাল ৯টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলার অপর নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেনএ ৯টা ৩০ মিনিটে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামি নভেম্বর মামলার ৩৪২ ও যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য ব্চিারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। মুল মামলার তিনটি অংশের মধ্যে গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় কারান্তরীন থাকা অবস্থায় মাহাফুজুর রহমান সাবু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৫ জুলাই ও জাভিদ রায়হার লাকী গত ২৭ আগষ্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সোমবার এ নিয়ে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।