মধুর খামার থেকে লাশ হয়ে ফিরলো রিয়াজ : হত্যা না কি আত্নহত্যা?
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগর ;
শ্যামনগরের এক যুবককে মধুর খামারে নিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাং গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে রিয়াজ (১৭) কে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে বুধবার রাতে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠায়। স্থানীয়রা জানান, হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে ৷
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৪ মাস আগে একই এলাকার নজু সরদারের ছেলে বাবুর মাধ্যমে রিয়াজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মৌমাছির খামার মালিক সবুজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার শেখের কান্দি এলাকায় কর্মচারী হিসাবে মাসিক চুক্তিতে যায় ৷
হঠাৎ ২৭ অক্টোবর খামারে থাকা কর্মচারীরা একটি ঘরে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় রিয়াজের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় বলে রিয়াজের বাড়িতে খবর দেয়। ঐদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় না জানিয়ে রিয়াজের লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠায়।
রিয়াজের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর পর থেকে বাবু ও সবুজের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার স্থানীয় মোছাম্মৎ খাকি বেগম জানান, রিয়াজের লাশ যখন এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হয়, তখন তার পিঠে এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেলে গলায় দাগ থাকার কথা কিন্তু আমরা কোন দাগ দেখতে পাইনি। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বাদল হোসেন সহ আরো অনেকে জানান, রিয়াজকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা তাকে কাজে নিয়ে গিয়েছিল, তারা রিয়াজকে পিটিয়ে মেরেছে আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে, সে আত্মহত্যা করেছে। যদি তাকে হত্যা করা হ,য় তাহলে ময়না তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।