সরে দাঁড়ালেন বরিস, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়লো ঋষির
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে গেল।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে রোববার স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বরিস জনসন।
সরে যাওয়ার পর বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বরিস জনসনের দাবি, সংসদ সদস্যদের যথেষ্ট সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে কার্যকরভাবে শাসন করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি- আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। কারণ, এটি এখন সঠিক সময় নয়। আমি এই মনোনয়নে থাকতে চাই না। সুনাক ও পেনি মর্ডান্ট (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা) যেই সফল হোক, তার প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।
তিনি আরো বলেন, তার পক্ষে ১০২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন ছিল। তবে বিবিসি এই সংখ্যার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। কারণ মাত্র ৫৭ জন সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে বরিসকে সমর্থন করেছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে। যিনি দলের নেতা হবেন, তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও কর হ্রাস করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিন পর পদত্যাগ করেন।
এদিকে ‘ওপিনিয়াম’ নামের এক বহুজাতিক সংস্থার জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। আর বরিসের ভাগ্যে জুটেছে মোটে ২৭ শতাংশ ভোট।