জোর করে পাঠিয়েছিলেন মাদরাসায়, শৌচাগারে মেয়ের লাশ পেলেন বাবা

নরসিংদীর শেখেরচরের একটি মাদরাসার টয়লেট থেকে আফরিন নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার শেখেরচর জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদরাসা ভবনের চার তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন শিক্ষকরা। আফরিন সদর উপজেলার মাধবদী থানার দড়িগাজীরহাঁও এলাকার ডালিম মিয়ার মেয়ে। তিনি মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদরাসায় যেতে চাচ্ছিলেন না আফরিন। সকালে তাকে জোর করে মাদরাসায় দিয়ে যান বাবা ডালিম মিয়া। এরপর যথারীতি তার ক্লাস করছিলেন তিনি। পরে দুপুর ১টার দিকে শ্রেণি শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে টয়লেটে যান তিনি। পরে অনেকক্ষণ ক্লাসে না ফিরলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজতে টয়লেটে গিয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে আফরিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের চিৎকারে শিক্ষকরা এসে টয়লেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোজী সরকার বলেন, আফরিন নামে ওই ছাত্রীকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার গলায় ফাঁস নেয়ার চিহ্ন আছে।

আফরিনের বাবা মো. ডালিম মিয়া বলেন, আমার মেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওই মাদরাসায় পড়তে চাচ্ছিল না। আজ সকালে সে বলছিল, মাদরাসায় পাঠালে কিছু খাবে না। আমি বলেছিলাম, ‘না খেলে না খাবি, মাদ্রাসায় যেতেই হবে।’ পরে আমি একপ্রকার জোর করে মাদরাসায় দিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এই সামান্য কারণে মেয়ে আমার আত্মহত্যা করে বসবে, ভাবতে পারিনি। পরে দুপুরে শিক্ষকদের কাছে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তার লাশ দেখতে পেয়েছি।’

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আল-আমিন বলেন, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)