বিশ্বজিৎ হত্যা : ১০ বছর পর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ ১০ বছর পর বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন দেন আদালত। তাদের মধ্যে অন্যতম মোশাররফ। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও তিনি পলাতক ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ হোসেনের সাজা বহাল রাখেন। ওই সময়ও মোশাররফ পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মোশাররফকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।