বরখাস্ত হলেও বড়বাবুদের কল্যানে বহাল তবিয়তে আছে তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি নায়েব আনিছুর
নিজস্ব প্রতিনিধি :
তালায় জমি রেজিষ্ট্রি করার সময় জাল নামপত্তন ও খাজনা দাখিলা শনাক্ত করে জালিয়াতি কান্ডে জড়িত দলিল লেখক বরখাস্ত হলেও বড়বাবুদের কল্যানে বহাল তবিয়তে আছে তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি নায়েব আনিছুর রহমান।
সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখে সেপ্টেম্বর তালায় ইসলামকাটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি বিক্রি করতে যেয়ে জাল কাগজপত্র উত্থাপন করলে তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। ঘটনার জেরে দলিল লেখক এসএম কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু জালিয়াতি করার পরও তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি নায়েব আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করা হয়নি কোন কৈফিয়ত তলব। কোনটিই করা হবেনা কেউ অভিযোগ না দেয়া পর্যন্ত।
এদিকে বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা যায় জালিয়াতির ঘটনা সামনে নিয়ে আসায় বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি হয়েছে তালা ইসলামকাটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর।
তালা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ রুহুল কুদ্দুস ঘটনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানান, ‘আমরা এখনো যাচাই-বাছাই শুরু করি নাই। দুটি কাগজ চেয়ে ইসলামকাটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়া সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই শুরু হবে।’
তালা সদর ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে শুধুমাত্র জাল কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য চিঠি পেয়েছি।’
তালা ইসলামকাটি সাব-রেজিষ্ট্রার মইনুল হক বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে একটি জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য কাগজপত্র সহ দলিল উপস্থাপন করা হয়। মিউটেশনে ১৩.৫০শতক এবং উপস্থাপিত মিউটেশনে মিউটেশন নং ৪২৬ খতিয়ানের ২৭৬ দাগের ১৩.৫০ শতক এবং তালা নায়েব অফিসের খাজনা দাখিলায় ১৩.৫০ শতক। মিউটিশনটি আমার সন্দেহ হলে আমি বারকোড স্ক্যান করে ও অনলাইনে চেক দিয়ে দেখি সেটি ১.৩৫শতক।
তখন আমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ ঘোষণা করে দলিল লেখককে এসএম কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করি এবং জব্দকৃত মিউটেশন ও খাজনা দাখিলার ছায়ালিপি যাচাই করার জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর প্রেরণ করি। সহকারি কমিশনারের কার্যালয় থেকে মূল কপি চেয়ে অপর একটি চিঠি আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সেখানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইতোপূর্বে সাময়িক বরখাস্ত থাকা নায়েব আনিছুরের হয়রানি ও তার জাল-জালিয়াতি কর্মকান্ডের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তালা সদর ইউনিয়নবাসী।