রতনপুর ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মনজুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১১নং রতনপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮-৯ গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মনজু আহম্মেদ। এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এজেন্ট বসিয়েছেন মনজু । ওই এজেন্টরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিজনের কাছ থেকে নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। ইউপি সদস্যরা বেশি টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করলেও কোন কর্ণপাত করছেনা মনজু ।
সরকারের আইন অমান্য করে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তা মনজু আহমেদ রতনপুর ইউনিয়নের অসহায় গরিব মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা । ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক তুহিন হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, গত ০২/১০/২০২২ ইং তারিখে তিনি তার স্ত্রীর জন্ম-সনদ অনলাইন করতে গেলে, ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা জি এম মনজু আহমেদ তুহিনকে বলেন কালার আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে তা না হলে আপনার কাজ করতে পারবো না।
তুহিন বলেন আমি মুল আইডি কার্ড সাথে নিয়ে আসি নাই, সাতক্ষীরাতে রেখে এসেছি। আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে এসেছি তাহলে কি আমার কাজ হবে না ? তখন ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মনজু আহম্মেদ বলেন, আমাদের কালার আইডি কার্ডের কপি ছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম কোন কার্ড রিসিভ করেননা। মনজু আহম্মেদ পরবর্তীতে তুহিন হোসেনকে কিছু টাকার কথা বলেন যেখানে আইডি কার্ডের মূল কপি ছাড়াই তার কাজ হয়ে যাবে।
তুহিন হোসেন কোন উপায় না পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম এর কাছে গেলে তিনি আবেদনটি দেখে এপির কাছে পাঠান এবং এপি দেখে বলেন, আপনার আবেদনটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এখনো রিসিভ করা হয়নি।
তখনি ১১নং রতনপুর ইউনিয়নের সচিবকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আবেদনটি রিসিভ করেন এবং এপি কাজটি করে দেন।
তুহিন হোসেন অভিযোগ করে আরো বলেন, এভাবে এখান থেকে ওখানে সেখান থেকে এখানে পাঠিয়ে হয়রানি করতে থাকে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মনজু আহম্মেদ। এভাবে যদি একজন সাংবাদিককে হয়রানি করা হয় সেখানে অসহায় সাধারণ মানুষ কি সেবা পাবে ?
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জন্ম সনদ অনলাইন ডিজিটাল করতে দেওয়ার পরও দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে তাও কাজ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ মনজু আহম্মেদের এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত-পূর্বক সঠিক বিচারের দাবি করেন।
এবিষয়ে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মনজু আহমেদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
১১ নং রতনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিম-আল রাজি (টোকোন) এর কাছে ফোন করলে তিনি রিসভ করেননি।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন,আমরা কোন ইউনিয়ন পরিষদকে এধরনের নির্দেশনা দেয়নি যে কালার আইডি কার্ড ব্যতীত জন্ম সনদ করা যাবে না এবং কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।