সীমান্তে গোলাগুলির সঙ্গে বেড়েছে আতঙ্কও

অনলাইন ডেস্ক :

অন্যদিনের তুলনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল ও গোলাগুলি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে আতঙ্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে সীমান্তের তিনটি জায়গা থেকে মর্টার শেল ও গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তে আজকে (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে অন্যদিনের চেয়ে বেশি মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ বেড়েছে। এতে সীমান্তের লোকজনের মাঝে ভয়ভীতিও বেড়েছে।

মাসের বেশি সময় ধরেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পয়েন্টে বাংলাদেশ-মিয়ানামার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। এই অবস্থানের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছে নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারাও। গত পাঁচ বছর ধরে ওই সীমান্তের শূন্যরেখায় কোনাপাড়ায় বসবাস করে আসছেন চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। সম্প্রতি মর্টার শেল-গোলা ছোড়ার পাশাপাশি সীমান্তে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখানে থাকা রোহিঙ্গার পাশাপাশি স্থানীয়দের চলাচলে সতর্ক করেছে সেখানকার দায়িত্বে থাকা বিজিবি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, এলাকার বেশিরভাগ মানুষই চাষাবাদ করে সংসার চালান। সীমান্তে গোলাগুলির কারণে অনেকে বেকার আছেন। ভয়ে সেখানে তাঁরা যাচ্ছেন না। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লোকজন চলাচলে সতর্ক করছেন।

হেডম্যানপাড়ার হোছন আহমদ বলেন, গোলাগুলির কারণে ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় ৫শ মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ভয়ে অনেক পরিবার তাঁদের বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপদে কাছাকাছি স্বজনদের বাড়িতে রেখে এসেছেন।

দায়িত্বে থাকা বিজিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, সীমান্তের অবস্থা খুব খারাপ। এখানে লোকজনের চলাচলে সতর্ক করা হয়েছে। জরুরি কাজ না থাকলে স্থানীয়দের ঘোরাফেরা না করতে বলা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)