বনবিভাগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ

অনাথ মন্ডল,  শ্যামনগর:
অমানুষিক নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে ফিরে এসেছেন গাবুরার এক জেলে। তার শরীরে রয়েছে লাঠি পেটার আঘাতের ক্ষত চিহ্ন।সুন্দরবন পূর্ব খুলনা বন বিভাগের ঞ্জেরের কাকা দবেকী অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে এক জেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় বনকর্মকর্তার নির্যাতনের শিকার হন। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামের আব্দুল হোসেন গাইনের ছেলে ওলিদ হোসেন। নিরীহ জেলের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন ঘটনা ঘটে গহিন বনের কাকা দবেকী অফিসে। শুধু নির্যাতন নয়, জেলেদের আহরিত জাল ও মাছসহ লুটিয়ে নিয়েছে বনবিভাগের সদস্যরা।
ওলিদ জানান, গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের বৈধ পাস-পারমিট নিয়ে সাদা মাছ আহরণকার জন্য সুন্দরবনে যায়। গাবুরা চাঁদনীমুখা গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে ইউনুছ । (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার সময় খাবার পানি নেওয়ার জন্য বনবিভাগের অফিসে প্রবেশের দায়ে আমাকে আটক করে বন বিভাগ। পরে ওই রাতে বিভিন্ন ভাবে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। কাকা দবেকী বনকর্মকর্তা (ওসি) ইসলাম হোসেন। আমাদের ২ জেলের বিরুদ্ধে চুরির ৭৬/২২ মামলা দায়ের করে অসুস্থ অবস্থায় খুলনা আদালতে সোপর্দ করে বন বিভাগ।
 ভুক্তভোগীর ভাই আমিনুর গাইন বলেন, খুলনা রেঞ্জের বন বিভাগ আমার ভাইকে আটক করেছে কাকা দবেকী অফিস থেকে। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি (ওসি) ইসলাম সাহেব আমার ভাইকে অনেক মারধর ও নির্যাতন করে নুলিয়ান রেঞ্জের পাঠিয়ে দিয়েছে। তখনই গাবুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজান ভাইকে জানায় তখন খুলনা কয়রা আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর করে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে সে রক্ত বমি করে। এবং প্রসাবের সঙ্গে রক্ত পড়তে থাকে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা সেই রাতেই তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আমার ভাইয়ের এই অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতনের বিচার চাই।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বলছেন, ওলিদ এর শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছ। কিন্তু সে বর্তমানে ক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আমরা তাকে আরও কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা দিয়েছি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী অহেদ মুর্শেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা জেলেদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি।
এ বিষয়ে কাকাদবেকী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসলাম হোসেন বলেন, ওলিদ কে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। ইউনুছ নামে এক জেলে পালিয়ে যায়। তাকে কোন শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)