৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
নিউজ ডেস্ক:
টিএসপি ও ইউরিয়া মিলিয়ে মোট ৯০ হাজার টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও ৩০ হাজার টন টিএসপি।
মরক্কো থেকে কেনা হবে টিএসপি। আর কাতার থেকে কেনা হবে ইউরিয়া। এই দুই ধরনের সার কিনতে খরচ ধরা হয়েছে ৬৩৭ কোটি টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই তিনটি প্রস্তাবসহ মোট ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কিনবে। এতে ব্যয় হবে ২২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ প্রস্তাব কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে। আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে আলাদা লটে ৩০ হাজার টন করে মোট ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে। এতে ব্যয় হবে ৪১৬ কোটি টাকা। দুই লটে আসবে গ্রিল্ড ইউরিয়া এবং বাল্ক্ক গ্রানুলার ইউরিয়া।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সয়াবিন তেল কেনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। ৩০৫ কোটি টাকায় টিসিবির জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। সুপার অয়েল রিফাইনারি, সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড ও মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এসব তেল কেনা হবে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ১১ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৪৭৪টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৪৮৯ কোটি টাকা। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। ইবতেদায়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি), মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, দাখিল স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, শিক্ষক নির্দেশিকা এবং কারিগরি (ট্রেড বই) শ্রেণির বই রয়েছে এতে।
এর বাইরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ঘোড়া উতরা নদীর ওপর ১ হাজার ২ মিটার সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৪৬ কোটি টাকার কাজটি করবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। একইভাবে জামালপুর জেলার সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৬০৬ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ও রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই কাজ করবে। এতে ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি টাকা।