হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে ‘মেরে’ প্রেমিকের সঙ্গে উধাও নববধূ

নিউজ ডেস্ক:

পরিবারের পছন্দে পাঁচদিন আগে বিয়ে করেন মনিরুল। হানিমুনে স্ত্রীকে মাজারে নেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু প্রিয়তমার আবদার মেটাতে যান কুয়াকাটায়। সৈকতে ঘোরাঘুরি শেষে ফেরেন হোটেলে। তবে স্ত্রীর অনুরোধে ফের ঘুরতে যান সৈকতে। হাঁটতে হাঁটতে স্বামীকে নিয়ে যান অন্ধকারে। সেখানে যেতেই স্বামীর ওপর জাপটে পড়েন চার-পাঁচজন। জীবনসঙ্গীর ওপর হামলা চললেও না বাঁচিয়ে আক্রমণকারীদের সঙ্গেই পালিয়ে যান স্ত্রী।

এমনই ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা জিরোপয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী পালিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলামের। মনিরুল বরগুনা জেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।

মনিরুল জানান, পাঁচদিন আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে মির্জাগঞ্জ মাজারে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু স্ত্রীর আবদার মেটাতে কুয়াকাটায় নিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় কুয়াকাটায় এসে হোটেল তাজে ওঠেন দুজনে।

তিনি বলেন, সৈকতে ঘোরাঘুরির পর হোটেলে আসি আমরা। কিন্তু স্ত্রী বারবার অনুরোধ করায় ফের সৈকতে ঘুরতে যাই। কিছুক্ষণ সৈকতের জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকি। পরে হাঁটার জন্য অনুরোধ করেন স্ত্রী। ইচ্ছা না থাকলেও আমাকে ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে যান তিনি। এ সময় আমার ওপর চার-পাঁচজন লোক আক্রমণ করেন। স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরে আমি বাঁচার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাকে না বাঁচিয়ে তাদের সঙ্গে পালিয়ে যান স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুল বলেন, ওই দম্পতিকে সৈকতে নামতে দেখেছি। কিছুক্ষণ পরই দেখি এ লোক রক্তাক্ত। পরে কয়েকজন মিলে তাকে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, মারধরের শিকার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে তার স্ত্রীকে পাইনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)