বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পরিবর্তন করে বেজমেন্ট ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নকশা পরিবর্তন করে বেজমেন্ট ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা এল জি ই ডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের বাঁকাল বাজুয়ারডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পি.ই.ডি.পি-৪ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা ভবন নির্মাণ শুরু হয়। কিন্তু স্কুলের বেজমেন্ট ঢালাইয়ের সময় দেখা যায় ভবনের সামনের ৬টি প্রিকাষ্ট পাইল ডিজাইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়নি। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রিকাষ্ট পাইল এবং কলাম নির্দিষ্ট স্থানে না বসিয়ে ৩ ফুট ও ৬ফুট একই দিকে সরে আছে। একইভাবে সামনের ৬টি কলমের সাথে প্রিকাস্ট পাইলের কোন সংযোগ নাই। এছাড়া কাজের গুনগত মান নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ননী ভ‚ষন মাখাল বলেন, ঠিকাদার পিলার ডিজাইন অনুযায়ী না বসিয়ে ইচ্ছামত বসিয়েছে। এতে ভবনের স্থায়ীত্ব কমে যাবে। আমাদের কোন কথায় তিনি কর্ণপাত করছেন না। তিনি বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ- সভাপতি সাংবাদিক কামাল উদ্দিন বলেন, সামনের ৬টি কলমের সাথে প্রিকাস্ট পাইলের কোন সংযোগ নাই। এর উপর ভবন নির্মান হলে ভবনটি সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে এবং সরকারের মহতী উদ্যোগ ব্যাহত হবে। তিনি অবিলম্বে ত্রুটিমুক্ত ভবন নির্মানের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম নির্মান কাজে ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেন, সামান্য ত্রুটি হয়েছিল। তা পরবর্তীতে ঠিক করা হয়েছে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি ওই ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। প্রকৌশলীর বক্তব্য সঠিক নয়।
এ বিষয়ে ঠিকাদার হাজী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।