সাতক্ষীরায় চতুর্থ দিনের ন্যায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত, উপকূলের ৩৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে
স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে সরে গিয়ে দুর্বল হবার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে চতুর্থ দিনেও সাতক্ষীরায় বুধবার সকাল থেকে হালকা ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস। পানিতে ভেসে গেছে
শত শত বিঘা মৎস্য ঘের। এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবেও উপকূলীয় এলাকার জরাজীর্ণ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে।
শ্যামনগরের গাবুরার ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম জানান, থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ভারী বর্ষনের কারনে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্যঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের লক্ষীদাড়ী পয়েন্ট সহ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ওই সব এলাকায় যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় সব নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে। এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আবুল খায়ের জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের আওতায় মোট ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধে মধ্যে ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ উপকূল রক্ষা জরাজীর্ণ বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার অনেক জায়গায় চলমান রয়েছে।