শ্যামনগরে কিশোর গ্যাং এর হামলায় গুরুতর আহত -১

শ্যামনগর প্রতিনিধি :

শ্যামনগরে দিন দিন কিশোর গ্যাং এর নৈরাজ্য বেড়েই চলেছে। কোন কিছুতেই থামছে না এদের নৈরাজ্য। এদের দ্বারা প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা ঘটছেই। কিছুদিন পূর্বে শ্যামনগর গোডাউন মোড়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে এক যুবককে ছুরিকাঘাত ও গৌরিপুরে সেনা সদস্য কে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া জমি দখল, চুরি, ছিনতাই সহ সমাজে এমন কোন অপরাদ মূলক কর্মকান্ড নেই যে তাদের দ্বারা সংগঠিত হয় না।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১ টায় দিকে এ কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের হাতে অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন হায়বাতপুর গ্রামের মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনের ছেলে শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র মাশরুর ইমাম রোহান।

উক্ত ঘটনায় মাশরুর ইমামের দাদা বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিগণ কিশোর গ্যাং, বকাটে, মাদকাসক্ত ও মাস্তান প্রকৃতির। তারা প্রায় সময় হাতে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে শ্যামনগর সদরে আসা লোকজনদের অন্যায় ভাবে আটক করে ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা, মোবাইল সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র কেড়ে নেয়।

তাদের উক্ত রূপ কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাছাড়া সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কলেজগামী ছাত্রীদের অকথা-কুকথা বলা সহ উত্যক্ত করে। মাশরুর ইমাম রোহান ও তার কলেজ বন্ধু বাপ্পি উক্ত ঘটনায় প্রতিবাদ করলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজের পিছনে রাস্তার উপরে তাদের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, জিয়াই পাই, দা, ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে।

এ সময় মাশরুর ইমাম রোহান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সময় পথচারীদের উপস্থিতিতে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বর্তমানে মাশরুর ইমাম রোহান শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে কিশোর গ্যাং এর নিত্যদিনের এমন ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শ্যামনগরের আপামর জনতা এ কিশোর গ্যাং এর হাত থেকে মুক্তি চায়। এবং সমাজে অপরাধ নির্মূল ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহেদ মোর্শেদ বলেন, উক্ত ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। আসামিদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)