যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় বেনাপোলের রানার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড
আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টার :
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় রানা হামিদ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। সোমবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এক রায়ে এ সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত রানা হামিদ বেনাপোল পোর্ট থানার খলসি গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে। গতবছরের পহেলা এপ্রিল তিনি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সোনাসহ আটক হন। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি এম. ইদ্রিস আলী। আটকের একবছর চারমাসের মাথায় এমন দ্রুত রায় ঘোষনার বিষয়টি ইতিবাচক বলে দাবি করেছেন তিনি।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের পহেলা এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২১/সি কোম্পানী পুটখালীর সদস্যরা জানতে পারে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলট গ্রামের সীমান্তবর্তী টেরেখালীতে অবস্থান নেয়।
সকাল সাতটার পর ইজিবাইক যোগে একব্যক্তির আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। ইজিবাইক থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলেই ওই ব্যক্তি ইজিবাইক থামিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এক পর্যায় বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জ্ঞিাসাবাদের রানা হামিদ জানায় ইজিবাইকের বডির নিচে বিশেষ কায়দায় সোনার বার রয়েছে। পরে ইজিবাইকের চেচিসের ঢালাই ভেঙ্গে ১৫ পিছ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন এক কেজী ৭৪৯ গ্রাম। মুল্য ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক সুবেদার কামাল হোসেন খান বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৩০ জুন শার্শা থানার এসআই মেহেদী হাসান আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি রানা হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড ও একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। আসামি রানা হামিদ আটকের পর থেকেই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। রোববার আদালত আসামির উপস্থিতিতে সাজা প্রদান করে আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।