যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

শেখ কামরুল ইসলাম :

‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাচাই সবাই মিলে’ স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে রোগী সনাক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে নাটাবের আয়োজনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়েত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ জামিল, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. ত্রিনেত্র ঘোষ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি বরুণ ব্যানার্জী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, দৈনিক কাফেলার চীফ রিপোর্টার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, বার্তা সম্পাদক এম রফিক, আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহীন গোলদার, দৈনিক যশোর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুকুল, দৈনিক জন্মভ‚মি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. শহীদুল ইসলাম, নাটাব সাতক্ষীরা জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের ডিপিও উজ্জ্বল কুমার পাল, মানবকষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী আলী সুজয়, ঢাকা টাইমস’র জেলা প্রতিনিধি এম বেলাল হোসাইন, যুগের বার্তার স্টার রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক সাতঘরিয়ার মফস্বল সম্পাদক আব্দুর রহমান, সুপ্রভাত সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিনিধি মাহফিজুল ইসলাম আককাজ, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আহাদুর রহমান জনি, দৈনিক লাখো কষ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ হোসেন, দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুদ আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধায়ন ও সঞ্চনায় ছিলেন নাটাব কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি তরুণ কুমার বিশ্বাস।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগির সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬১ হাজার। এরমধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৪২ জনকে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচির মূল লক্ষ বাংলাদেশকে যক্ষ্মা মুক্তকরা এবং দেশ থেকে যক্ষ্মারোগগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা মৃত্যুর হার ও সংক্রামন এমন পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেন দেশে যক্ষ্মা জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান না থাকে। য²ারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা একটি জীবানু ঘঠিত সংক্রমক রোগ। এক নাগাড়ে দু সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি থাকলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে, রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁসি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে। পরিবারে একজন যক্ষ্মা রোগী থাকলে পরিবারের অন্যদেরও বিশেষ করে শিশু এবং প্রাপ্ত বয়ষ্কদের যদি এক সপ্তাহ যাবত কাশি থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)