ভোমরা শুল্ক স্টেশনে সিপাহী নাজমুল ও আমিনুরের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা ভোমরা কাস্টমস চেকপোস্টে কর্মরত সিপাহী মোঃ নাজমুল খান, মোঃ আমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সরকারি দায়িত্ব পালনের নামে এসব কর্মচারিরা উৎকোচ গ্রহণের নানা কৌশল তৈরি করেছে। ভ্রমনকারীদের অভিযোগের তীর কাস্টমস চেকপোস্টের নাজমুল খান ,আমিনুর ইসলাম ও তাদের সাথে মোঃ আজাদ, আশিকের দিকে ।
সরেজমিনে ভোমরা কাস্টমস চেকপোস্টে অপেক্ষার পর দেখা যায় অনিয়ম আর দূর্ণীতির নানা চিত্র। যেন এসব কর্মকর্তা আর কর্মচারিদের কাছে টাকা ছাড়া কোন কথা নেই। আর টাকা হলে কোন সমস্যাও নেই।
বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী আবুল কালাম পাসপোর্ট নং -( ট ৮৬৮৪০৫৪ ) জানান, আমার কাছ থেকে ৪শত টাকা নিয়েছে কাস্টমস। ম-ল সারতী রাণী -পাসপোর্ট নং- (ভিএল০৯০৫১৬০), মোঃ সোহেল পাসপোর্ট নং-(ট ৪৩২৭৪৬৩), আলম পাসপোর্ট নং-(ট ৮৬৩৮৯২৮) ভ্রমনকারিদের সাথে যেমনি চরম দূর্ব্যহার, তেমনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।
এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন প্রতিদিন ৬”শ থেকে ৭”শ পাসপোর্ট যাত্রী যাওয়া-আসা করে। দৈনিক প্রায় ৫০হাজার থেকে ১ লক্ষাধিক টাকা কামাচ্ছেন ভোমরা কাস্টমস চেক পোষ্টের দূর্ণীতিবাজ এসব কর্মচারীরা।
এছাড়া ল্যাগেজ যাত্রিদের থেকে প্রতি ল্যাগেজে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন ২০-৩০ টা ল্যাগেজ যাত্রিদের এই সুবিধা দিয়ে তারা কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজের তদারকি করছে নামজমুল খান ও আমিনুর ইসলাম।
সূত্র আরও জানান, ঘুষ গ্রহণের কালো থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ভারতের গমন ও বর্হিগমনকারি হাজার হাজার বৈধ পাসপোর্ট যাত্রী। চিকিৎসা,ব্যবসা আর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যাক বাংলাদেশী বর্তমানে অবৈধ অনুপ্রবেশ পরিহার করে বৈধভাবে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের পূর্বে যখন ভোমরা কাস্টমস চেকপোস্টে চলে আসেন তখন এসব বৈধ পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও আইনের ফাঁদে ফেলে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
ভোমরা কাস্টমস চেকপোস্ট থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, ভোমরা কাস্টমস চেকপোস্টের দূর্ণীতিবাজদের অমানবিক আচরণে পাসপোর্ট যাত্রীরা অকারণেই নাজেহাল হচ্ছে। বৈধভাবে যেতে যেভাবে নাজেহাল হতে হয়, তার চেয়ে অবৈধভাবে যাওয়াটাই অনেক ভাল।
ভূক্তভোগিদের পাসপোর্ট যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়িতে ব্যবহারের জন্য শুল্কমূক্ত কিছু ব্যবহৃত পন্য সামগ্রী থাকলে চেকপোস্টের কর্মকর্তা সিপাহীরা একজোট হয়ে আইনের ভয় দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। অথচ যে পন্যগুলো আদৌ কোন ট্যাক্স এর আওতায় আসে না। কাস্টমস আইনের বরাত দিয়ে জানাগেছে, যে কোন বৈধ পাসপোর্ট যাত্রী গৃহকার্যে ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকার পন্য বহন করতে পারবেন। কিন্তু এই চেকপোস্টের দায়িত্বরত সিপাহী নাজমুল খান, সিপাহী আমিনুর ইসলাম ও আশিকের অদৃশ্য শক্তির মহড়া দিয়ে তাদের অপকর্ম অব্যহত রেখেছেন। এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (প্রশাসনিক) কে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।