প্রকল্প পাস না হলে ৭০-৮০ আসনে ইভিএমে ভোট করা যাবে : ইসি
অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনের হাতে যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রয়েছে, তা দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০টি সংসদীয় আসনে ভোট করা যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তবে, তিনি বলেছেন, সচিবালয় যদি দিতে পারে, তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু, প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে, তাহলে তো হবে না। তবে, আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে ৭০-৮০টি আসনে নিশ্চিত। আমাদের যা ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৭০-৮০ টাতে হবে।
স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার হয়েছে, সেসব এলাকাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানান এই কমিশনার।
আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের না। ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা হয়তো একটা গাইডলাইন চাইতে পারে আমাদের কাছে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, এটা ধরেই ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সচিবালয় যদি দিতে পারে, তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কারণ, কেবল অর্থ নয়, সবকিছু পেলেই কেবল সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে হবে।’
ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘কোন কোন আসনে ইভিএমে ভোট হবে, তা এখনো ঠিক করা হয়নি। ক্রাইটেরিয়া ডিপেন্ড করবে। যেখানে ভোট হয়েছে সেসব এলাকাতেই হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসন, স্বাভাবিক ভাবেই পৌর, ইউপিসহ যেসব ভোট হয়েছে সেসব এলাকাই আমলে নেওয়া হবে।’
সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে মো.আলমগীর বলেন, ‘৩০০ আসনের সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। সম্ভব হলে সব ভোটকক্ষেই দেব। আমরা এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেব। কারণ সংরক্ষণ, মেরামতের বিষয় আছে। ভোটের পর তারা সিডি দেবে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেমন দিয়েছে। সেখানে সকল কিছুর রেকর্ড থাকবে।’
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে টোটাল নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট থাকবে জানিয়ে এ কমিশনার বলেন, ‘ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিতে পারবে। রোডম্যাপ চূড়ান্ত, এখন প্রকাশের অপেক্ষা। প্রিন্ট হলেই প্রকাশ হবে। সচিবালয় বিষয়গুলো দেখছে।’