ভূরুলিয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ডে অনিয়মে মেম্বারের বিরুদ্ধে ইউ,এন’র কাছে অভিযোগ
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগর :
শ্যামনগরে ভূরুলিয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ডে অনিয়মে মেম্বারের বিরুদ্ধে ইউ,এন’র কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা ৷ প্রকৃতদের বঞ্চিত করে নতুন তালিকায় স্বজনপ্রিতী করায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে সুবিধাবঞ্চিত পরিবার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদা ও দারিদ্র বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২০১৮ সালের ১ লা মার্চ থেকে শুরু হয় অতি দরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউল খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি।
বর্তমানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে জমা নেওয়া হচ্ছে। এ সুবাদে কিছু কিছু ইউপি সদস্য তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রর্থীর সমর্থিতদের কার্ড কর্তন করে ও অর্থের বিনিময়ে নিজ দলীয় লোকদের নাম সংযুক্ত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩১ আগষ্ট) শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন আলীর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতাধীন ভুক্তভোগীদের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করে স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত এলাকাবাসী।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতাধীন ১২০ টি কার্ডের মধ্যে ৪০/৪৫ জনের নাম ইচ্ছেমতো বাদ দিয়েছেন ইউপি সদস্য হোসেন আলী। নতুন তালিকায় রেখেছেন তাহার আত্নীয় স্বজন ও দলীয় সমর্থিত লোকজনদের নাম। অভিযোগকারী লুৎফর রহমান, মোর্শেদ হোসেন, রশিদ মল্লিক, সুবাহান, শহিদ মল্লিক সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা অসহায় হতদরিদ্র পরিবার। আমাদের সরকারি অন্যকোন অনুদানের কার্ড নেই। মেম্বার তার আত্মীয় স্বজন ও টাকা নিয়ে আমাদের নাম বাদ দিয়ে যাদের জমিজমা ও পাঁকা ঘরবাড়ি আছে তাদের কার্ড দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, আমি অসহায় মানুষের কার্ড বাতিল করেছি কিন্তু সেই কার্ড গুলো অন্য অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে বন্টন করেছি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আকতার হোসেন’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুড অফিসারের নিকট প্রেরণ করেছি।