ডুমুরিয়ায় তাল কুড়ানোর কথাবলে পাটক্ষেতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

আব্দুর রশিদ, খুলনা :

ডুমুরিয়া পল্লীতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে তাল কুড়ানোর কথা বলে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত লম্পট ধর্ষককে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

জানাযায়, গত রবিবার (২৮ আগষ্ট-২০২২) ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বাদুড়িয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদের মলঙ্গীর লম্পট ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৬) একই মহল্লার মোঃ হাবিবুর রহমান মলঙ্গীর দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে মীম আক্তারকে তাল কুড়ানোর কথা বলে বাড়ির পাশ্ববর্তী পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ।

ধর্ষক কৌশলে তাল পড়েছে কথা বলে তাল তলায় পাঠায় পরে পিছু পিছু ধর্ষক শরিফুলও তাল তলায় যায়। সেখানে নির্জন ফাঁকা জায়গা পেয়ে তাকে জাপটে ধরে পাশে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্হানে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে।

এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে শরিফুল গাঁঢাকা দেয়। রাতে মাগুরাঘোনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই হাবিবুল্লাহ হাবিব লম্পট ধর্ষণ শরিফুলকে গ্রেফতার পূর্বক ডুমুরিয়া থানায় পাঠিয়েছে । পুলিশ জানায় আসামী ধর্ষক শরিফুলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা নং ২৫, তারিখ ২৯/০৮/২০২২। আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এব্যাপারে বাদুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিতালী রানী বলেন, মীম আক্তার আমার স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মীম আক্তারের চাচা মাহবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন মিম স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে যায়।

সেখানে লম্পট শরিফুল মীমকে তালগাছ থেকে তাল পড়েছে বলে তলায় পাঠায়। তখন মেয়েটি সরল মনে তাল আনতে যায়। এসময় পিছন পিছন লম্পট শরিফুল ওখানে যায়। এসময় নির্জনে একা পেয়ে মীমকে জাপটে ধরে পাশের পাটক্ষেতের ভিতরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটি বাড়িতে যেয়ে মা, চাচিদের সাথে বিষয়টি খুলে বলে।

তখন মেয়ের মা বিষয়টি ধর্ষকের মা, বাবাকে জানায় আমার মেয়ের কিছু হলে তোমাদের দায় নিতে হবে। বিকালের দিকে মীম অসুস্হ্য হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ৩ দিন পর চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসেন। আঠারমাইল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই হাবিবুল্লাহ হাবিব বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনা স্হলে যেয়ে ধর্ষক শরিফুলকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে শরিফুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কনি মিয়া আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন ধর্ষককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দিনই তাকে খুলনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)