২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নেই : তাপস

অনলাইন ডেস্ক :

হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিশ্চিত না করে ২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। কারণ, যেখানে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট সময়ের পর এবং শুক্র-শনিবার এবং রাতে চিকিৎসকই পাওয়া যায় না সেখানে ওষুধের দোকান কেন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে? আগে তো চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। তারপর তো চিকিৎসাসেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ডিএসসিসির দ্বিতীয় পরিষদের ষোড়শ করপোরেশন সভার সূচনা বক্তব্যে তাপস এসব কথা বলেন।

গত ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাত ২টা পর্যন্ত নয়, ২৪ ঘণ্টাই ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যসেবা হলো জরুরিসেবা। আমরা কোনো হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি। ২৪ ঘণ্টা সেবা বজায় রেখেছি। শুধু অফিসকেন্দ্রিক বা সিভিল সার্জন অফিস সেখানে ৮টা থেকে ৩টা করেছি। তা ছাড়া সব হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে এবং ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেইনি।’

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ডিএসসিসি ঘোষিত সময়সূচির বাইরে যে কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে লিখিত আবেদন করতে হবে। পূর্বানুমতির জন্য ওই আবেদনের যথাযথ যৌক্তিকতা থাকতে হবে। যদি লিখিত কোনো আবেদন আসে, আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করব।’

গত ২২ আগস্ট দেশের জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএসসিসি এলাকার কোন প্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ থাকবে তা নির্ধারণ করে দেয় সংস্থাটি। এতে বলা হয়, সাধারণ ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে রাত ১২টার মধ্যে। হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে রাত ২টার মধ্যে।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে নানা মাধ্যমে আলোচনা হলেও করপোরেশন এখনো কোনো পক্ষ বা ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো ধরনের আবেদন পায়নি জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘ঘোষিত গণবিজ্ঞপ্তির সময়সূচি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। শুধু হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানগুলো খোলা রাখার বিষয়ে বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, তারা কিন্তু আমাদের কাছে কোনো লিখিত আবেদন করেননি।’

মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি সময়সূচি উপস্থাপন করেছি এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটা কার্যকর করতে চাই।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)