সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায়  আরো দুই আওয়ামীলীগ নেতার সাক্ষ্য গ্রহণ

আসাদুজ্জামান:

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় আরো দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এনিয়ে এ মামলায় আজ পর্যন্ত মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করেছে আদালত। আদালতের কাঠগড়ায় এ সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।

সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৮ জন আসামীকে সকাল ৮ টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলার অপর নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন এবং দুই জন মারা গেছেন। ৮টা ১৫ মিনিটে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাক্ষী হিসেবে উক্ত দুই জনকে হাজির করানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ। এ সময় তাকে সহায়তা করেন, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।

অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ। আগামী ১৮ সেম্পম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য: ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। এদিকে, গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)