শ্যামনগরের শিক্ষার্থীকে চড় মারায় শিক্ষকে পিটিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা

অনাথ মণ্ডল, শ্যামনগর।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ৭৪ নম্বর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মৃদু চড় মারায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর আলহাজ্ব মুজিবর রহমানের বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, অভিযোগে তিনি বলেন ২৪ শে আগস্ট পঞ্চম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাস নেয়ার সময় আমি দাঁড়িয়ে হোয়াইট বোর্ডে লেখালেখি করছিলাম, সে সময় শিক্ষার্থীরা আমার বসার চেয়ার সুপার গুলু আটা লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে বসতে বলে। কিছুক্ষণ পরে আবার উঠতে বলেন আমি ওটার সাথে সাথে চিয়ারে আমার পাছায় প্যান্টের সাথে আটকে যায় শিক্ষার্থীরা হাততালি দিতে থাকলে। ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই আমার অত্যন্ত স্নেহের তারা যাতে আগামীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে সেই লক্ষ্যে আমি শিক্ষাগুরু হিসেবে কজন শিক্ষার্থীকে মৃদু চড় মারি।
যথারীতি ক্লাস শেষ করে আমি বাড়ি চলে যাই। পরদিন ২৫শে আগস্ট বৃহস্পতিবার ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে ফিরে আসার সময় গোবিন্দপুর মুজিবর হাজির বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা শিক্ষার্থীর বাবা আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মজিবর রহমান, সেকেন্দার আলী সহ ৪-৫ জন
বেধড়ক মারপিট শুরু করে এবং আমার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে আমাকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমি দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি, স্কুলের জায়গা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে বিভেদ চলে আসছে। স্কুলের জায়গা উদ্ধার করার জন্য আমি চেষ্টা করায় আমাকে বিভিন্ন সময়ে মামলা হামলা দিয়ে হেনস্থ করে আসছে। যার ফলে আমাকে চাকরি করতে দেবে না বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে, তার এই ধারাবাহিকত আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দিয়ে চাকরীচ্যুত  করার পায়তারা করছে।
যাতে করে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ তারা ভোগ দখল করতে পারে এবং আমাকে অন্যত্র না যেতে পারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টা আমি শুনেছি আমি যতদূর বুঝেছি স্কুলের শিক্ষকদের সাথে ওনার বনিবনা হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান এ ঘটনা ইতিমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিডি অফিসে সুপারিশ করা হয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)