যশোর জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা হতে মাদক সহ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার
আআঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ—
আগষ্ট/২০২২ মাসে যশোর জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা হতে ১০৮৭ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১৪১ বোতল বিদেশী মদ, ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৪১০০ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(৪৯,বিজিবি)’র যশোর ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী জানান, দীর্ঘদিন যাবত হুন্ডি, মাদক, চোরাচালান ও স্বর্ণ আটকের নিমিত্তে বিজিবি’র বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিসহ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চোরাকারবারীদের যেকোন অপতৎপরতা ও অবৈধ কর্মকান্ড রহিত করণের লক্ষ্যে বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি ও বিশেষ অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ১৭ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখ রাত ২.৩০ মিনিটের দিকে সীমান্ত এলাকা আন্দুলিয়া বিওপিতে কর্মরত সুবেদার মোঃ আবু সাঈদ সরদার এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনাকালীন সময় ০২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্দুলিয়া গ্রামস্থ মাধবপুর ব্রিজের পাশের কতিপয় চোরাকারবারী ভারত হতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসার প্রাক্কালে বিজিবি’র বিশেষ টহলদল তাদেরকে ধাওয়া করলে মাদকদ্রব্য ফেলে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে উক্ত স্থান হতে ২৮২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও আগস্ট ২০২২ মাসে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ অভিযানে সীমান্তে কঠোর নজরদারীতে ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বেনাপোল আইসিপি ৬৭ বোতল মদ ও ৪১০০ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ধান্যখোলা বিওপি ২০ কেজি গাঁজা ও ০১ বোতল মদ, শিকারপুর বিওপি ৮৫ বোতল ফেন্সিডিল, কাশিপুর বিওপি ২০ বোতল ফেন্সিডিল, মাসিলা বিওপি ৪০ বোতল ফেন্সিডিল, আন্দুলিয়া বিওপি ২২৫ বোতল ফেন্সিডিল এবং ৭৩ বোতল মদ এবং হিজলী বিওপি ১০ কেজি গাঁজা ও ৪৩৫ বোতল ফেন্সিডিল আটক করতে সক্ষম হয়। যার ফলশ্রুতিতে সর্বমোট ১০৮৭ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১৪১ বোতল বিদেশী মদ, ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৪১০০ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক সিজার মূল্য ৯,১৫,৩০০/- (নয় লক্ষ পনের হাজার তিনশত) টাকা।
ভবিষ্যতেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে চোরাচালান বিশেষ করে মাদক পাচার প্রতিরোধ কল্পে বিশেষ অভিযান এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রেসনোটে জানিয়েছেন অধিনায়ক মিনহাজ সিদ্দিকি।